মেলান্দহ

মেলান্দহে পুলিশের এএসআই’র বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

সাকিব আল হাসান নাহিদ, মেলান্দহ: জামালপুরের মেলান্দহে মো. শামীম নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দলবল নিয়ে জমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত শামীম বর্তমানে টাঙ্গাইল সদর ফাঁড়িতে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত আছেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. আনোয়ার হোসেন (৫০) মেলান্দহ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের আমডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ও মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ৮ জুলাই সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্ত এএসআই শামীমসহ ৮ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মেলান্দহ থানাধীন গোয়ালিনীচর মৌজার একটি ভূমিতে অনধিকার প্রবেশ করে ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এতে বাধা দিতে গেলে তারা তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেন।

অভিযোগে: এসআই শামীম, তার ভাইকামরুল ইসলাম নহিন্দর, শাহজাহান আলী, বকুল মিয়া, সবুজ মিয়াসহ ৮জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার পিতা ২০২১ সালে দলিলমূলে জমিটি আমাদের নামে হস্তান্তর করেন (দলিল নং-১৭৯৬)। সেই থেকে আমরা জমিটি ভোগদখলে আছি। কিন্তু অভিযুক্ত এএসআই শামীম তার পেশাগত পরিচয় ও প্রভাব খাটিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারীদের নিয়ে এসে জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন। এ নিয়ে একাধিকবার শালিশ হলেও তারা কোনো সিদ্ধান্ত মানেনি।’

তিনি আরও জানান, সংঘবদ্ধ হামলার সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে বিবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করেন। তখন হামলাকারীরা তাকে হুমকি দেন যে, ‘এই জমিতে ঘর তোলায় বাধা দিলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের খুন করে ফেলা হবে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে এএসআই মো. শামীম বলেন, ‘ওই জমি আমরা বহু বছর ধরে ব্যবহার করছি। শালিশে যে পরিমাণ রাস্তা রাখতে বলা হয়েছিল, তা রেখেই আমরা কাজ করছি। কাউকে হুমকি দেওয়া হয়নি, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেনের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে অপর পক্ষও একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ভূমির বিবরণ অনুযায়ী, বিরোধপূর্ণ জমিটি জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানাধীন গোয়ালিনীচর মৌজায় অবস্থিত। খারিজ খতিয়ান নং-৪৭৭৫, বিআরএস খতিয়ান নং-৩১৫, দাগ নং-১৪৪৮; মোট জমির পরিমাণ ৩১ শতাংশ, যার মধ্যে ১০.৩৩ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছে।

Related Articles

Back to top button