ইরানে পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা: ‘তেজস্ক্রিয় বিকিরণ’ হয়নি
ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় কোনো তেজস্ক্রিয় লিকেজ হয়নি। তেহরান ও রিয়াদের কর্তৃপক্ষের ভাষ্যে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে। ফোরদোর ক্ষেত্রে তা অস্বীকার করেনি তেল আবিবও।
এমনকি ফোরদো প্রকল্প যে শহরের কাছে অবস্থিত- সেই কোম শহরের রাস্তাঘাটেও রাতের চিরচেনা নিরবতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সৌদি আরবের নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি অথোরিটিও তেহরানের সুরেই কথা বলেছে। জানিয়েছে, উপসাগরীয় পুরো অঞ্চলে তারা কোনো তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত পায়নি।
ইরানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামলার আশঙ্কা আঁচ করতে পেরে আগেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ সংবেদনশীল উপাদানগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
তেহরান আরও দাবি করেছে, ফোর্দোর হামলায় কেবল প্রকল্পে প্রবেশের পথ ও বের হওয়ার পথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আসল পরমাণু প্রকল্প পুরোপুরি অক্ষত রয়েছে। আর ক্ষয়ক্ষতি যা হয়েছে, তাও মেরামত যোগ্য।
তেল আবিব কর্তৃপক্ষের বরাতে ইসরায়েলি আর্মি রেডিও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ফোরদোর মূল পরমাণু প্রকল্পের ক্ষতি নাও হয়ে থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার মূল লক্ষ্য ছিল নাতানজ পরমাণু প্রকল্প।
কিন্তু নাতানজ ও ইসফাহানে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মাটির ওপরের স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হলেও নিচে থাকা প্রকল্প অক্ষতই থাকার কথা। তেজস্ক্রিয় লিকেজ না হওয়াটা এমনই ইঙ্গিত দেয়।