প্রধান খবর

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ৩ লাশ, রাত ৮টা থেকে কারফিউ

বুধবার ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি শেষে ফেরার সময় হামলার মুখে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন এনসিপি’র শীর্ষ নেতারা। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় তারা গোপালগঞ্জ ছাড়েন। এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে হামলাকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর প্রথমে শহরে ১৪৪ ধারা এবং পরে রাত ৮টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত গোপালগঞ্জ শহরে অন্তত তিনজন নিহত হওয়ার খবর এসেছে।

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস বুধবার বিকাল ৫টায় বলেন, “আমাদের এখানে তিনজনের মরদেহ আনা হয়েছে।”

নিহতরা হলেন– দীপ্ত সাহা (২৫), রমজান কাজী (১৮) এবং সোহেল রানা (৩৫)।

দুপুর থেকে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘাতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন।

অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম) খন্দকার রফিকুল ইসলাম সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বলেন, তারাও তিনজনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে।

এনসিপির এই পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলানো হয়।

বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

এসবের মধ্যে বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে ফের হামলা হয়।

এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এ পরিস্থিতিতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। দুপুরে জেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারির কথা জানায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

Related Articles

Back to top button