মেলান্দহ

জাবিপ্রবির মাঠ বহিরাগতমুক্ত রাখতে প্রক্টরিয়াল বডির অভিযান

মো: মিরাজুল ইসলাম,জাবিপ্রবি: ​জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বহিরাগতদের প্রবেশ এবং খেলাধুলা বন্ধে অভিযান চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ও জামতলা চত্বরে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সম্প্রতি বহিরাগতদের নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি এবং এক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নিলো প্রশাসন।

​বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানা গেছে- বেশ কিছুদিন ধরেই বিকেলের সময়গুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে স্থানীয় যুবক ও বহিরাগতদের আনাগোনা আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে যায়। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্যাম্পাসের মাঠে খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন।

​পরিস্থিতি আরও জটিল হয় কয়েক দিন আগে। অভিযোগ রয়েছে-মাঠে খেলাধুলা করতে আসা বহিরাগতদের দুটি পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এছাড়া বহিরাগত এক যুবকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত (ইভটিজিং) করার মতো গুরুতর অভিযোগও ওঠে।

​এসব ঘটনার পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে পড়ে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়ে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

​শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাদিকুর রহমানয়ের নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাঠে এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের সময় মাঠে অবস্থানরত বহিরাগতদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয় এবং তাদের অনুমতি ছাড়া খেলতে আসায় অবিলম্বে ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় এর পর তারা চলে যায়।

​এ বিষয়ে প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন-“বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ও পরিবেশ মূলত এখানকার শিক্ষার্থীদের জন্যই। কিন্তু সম্প্রতি বহিরাগতদের অবাধ বিচরণের ফলে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। বিশেষ করে তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারি এবং আমাদের এক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটার অভিযোগ আসায় আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের পরিবেশ নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

Related Articles

Back to top button