জামালপুর
হাদির হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে জামালপুরে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
শাওন মোল্লা, জামালপুর: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে রেলপথ ও সড়ক অবরোধ করেছে ছাত্রজনতা।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জামালপুর শহরের গেটপার এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা।
এতে দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের আগে প্রায় ৪০ মিনিট ট্রেনটি আটকা পড়ে।
শুক্রবার বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে বিক্ষোভকারীরা শহরের পাঁচ রাস্তা মোড়ে যান চলাচল বন্ধ করে জড়ো হতে থাকেন। পরে বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে সেখান থেকে একটি মিছিল বের করে শহরের গেটপার এলাকায় যান। সেখানে তারা সড়ক ও রেলপথে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। এতে সড়কপথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং ঢাকাগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনের সিগন্যাল পয়েন্টের আগে আটকা পড়ে। ৪ টা ৩৫ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারীরা সরে গেলে স্বাভাবিক হয় যান ও ট্রেন চলাচল। এতে ৪০ মিনিট ট্রেন আটকা পড়ে।
অবরোধের সময় বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন এবং ওসমান হাদীর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আহ্বান জানান।
আশেক মাহমুদ কলেজ এর শিক্ষার্থী জুমান বলেন-‘গত ১২ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে গুলি করে হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছিল। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল তিনি মারা গেলেন। এটি স্পষ্টভাবে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। অথচ এতদিনেও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতার প্রমাণ ‘
আরেক শিক্ষার্থী হৃদয় আহমেদ বলেন- ‘ওসমান হাদি সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে একমাত্র সাহসী কণ্ঠ ছিলেন। তিনি জুলাই যোদ্ধা হিসেবে মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলতেন বলেই তাকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে।
জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আখতারুজ্জামান জানান- আন্দোলনের কারণে ঢাকাগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের আগেই সিগন্যাল পয়েন্টের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলো। ট্রেনটির বিকেল ৪টায় স্টেশনে পৌঁছানোর কথা ছিল। প্রায় ৪০ মিনিটের মতো আটকা ছিলো ট্রেন।




