স্পোর্টস ডেস্ক:
তিন অধিনায়কের যুগে ফের প্রবেশ করল বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটের নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এক বছরের জন্য তাকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তকে। শান্ত এখন টেস্ট দলের দায়িত্বে, মিরাজ ওয়ানডের, আর লিটন দাস টি-টোয়েন্টির।
গত বছর নিজ থেকে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে সরে যান শান্ত। এরপরই বিসিবি লিটনকে পাকাপাকিভাবে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেয়। শ্রীলঙ্কা সফরের আগে শান্তর টেস্ট অধিনায়কত্ব এক বছর বাড়ানো হয়েছে। তখন থেকেই শোনা যাচ্ছিল, তাকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
আজ দুপুরে পরিচালকদের নিয়ে জুম মিটিংয়ে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সেই মিটিংয়ে মিরাজকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত হয়। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন বলেছেন, ‘‘ব্যাট ও বল হাতে মিরাজের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স, তার লড়াই ও দলকে অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা, মাঠ ও মাঠের বাইরে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর উপস্থিতি— তাকে এই পালাবদলের সময়ে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত মনে করেছে বোর্ড। আমাদের বিশ্বাস, তার ওই টেম্পারামেন্ট ও ম্যাচিউরিটি আছে বাংলাদেশকে এই সংস্করণে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।’’
শ্রীলঙ্কা সফর দিয়েই মিরাজের অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হবে। যদিও শান্তর অনুপস্থিতিতে চার ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি, তবে একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ।
১০৫টি ওয়ানডেতে ১৬১৭ রান এবং ১১০টি উইকেট নিয়ে মিরাজ বর্তমানে আইসিসি ওডিআই র্যাংকিংয়ে অলরাউন্ডারদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন, যা যেকোনো বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওয়ানডেতে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেটের যে এলিট ক্লাব, তাতে মোহাম্মদ রফিক, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি।
দায়িত্ব পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মিরাজ বলেছেন, ‘‘বোর্ড কর্তৃক এই দায়িত্ব অর্পণ করা আমার জন্য একটি বিশাল সম্মান। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য একটি স্বপ্ন, এবং বোর্ড আমার প্রতি যে আস্থা দেখিয়েছে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’’
‘‘এই দলের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। আমাদের প্রতিভা এবং নির্ভীক ক্রিকেট খেলার বিশ্বাস আছে। আমি চাই আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পারফর্ম করি, বাধাহীনভাবে খেলি এবং দেশের জন্য আমাদের সেরাটা দিয়ে যাই,’’ – যোগ করেন মিরাজ।
