জাতীয়

সিলেটে আর পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেবো না: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সিলেটের নান্দনিক ও নৈসর্গিক আবেদন আছে, এরকম জায়গায় আমরা আর পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেবো না।

তিনি বলেন, এ জায়গা (জাফলং) প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ)।

আমরা পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, এখানে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের বিকাশ এবং যারা পাথর উত্তোলন করেন তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সৃষ্টির জন্য চিন্তা করা হচ্ছে।

শনিবার (১৪ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সিলেটে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জাফলংসহ সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় পরিবেশবান্ধব ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।

তিনি বলেন, পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন জাফলংয়ের মতো এলাকায় পাথর উত্তোলনের জন্য আর ইজারা দেওয়া হবে না। এর পরিবর্তে এ সৌন্দর্যমণ্ডিত এলাকাগুলোতে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের কৌশল নির্ধারণে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করবে সরকার। অতিরিক্ত পাথর ও বালু উত্তোলনে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে জাফলং পরিদর্শন শেষে সিলেট শহরে ফেরার পথে অন্তর্বর্তী সরকারের ওই দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। এ সময় তারা ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

বিক্ষোভের কারণ হিসেবে স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফলংসহ সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা প্রক্রিয়া স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখে সরকার। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্থানীয়রা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ জানান, আকস্মিক স্থানীয়রা উপদেষ্টাদের গাড়ির সামনে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। অবশ্য পুলিশ দ্রুত তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ উপদেষ্টারা নিরাপদে হরিপুর গেস্ট হাউজে গিয়ে পৌঁছান।

Related Articles

Back to top button