জামালপুর মাইকে ঘোষনা দিয়ে সাত পরিবারকে সমাজচ্যুত
জামালপুর শহরতলীর দাপুরিয়াএলাকায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে সাত পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে।
ঝগড়া বিবাদে গ্রাম্য সালিশির সিদ্ধান্ত অমান্য করায় এই ঘোষনা দেওয়া হয়।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরের দিকে ইসমাইল মৌলবী নামে এক ভুক্তভোগী জামালপুর সদর থানায় এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরআগে গতকাল শুক্রবার রাত ১১ টা দিকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সমাজচ্যুত করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়- গত ১১ জুন সন্ধ্যায় জামালপুর শহরতলীর দাপুনিয়া এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মন্টু মিয়া ও মনছুর মিয়ার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেড় ধরে ১৩ জুন শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় মনটু মিয়ার উপর হামলা হলে আবারো সংঘর্ষ হয় দুই পক্ষের মধ্যে। গ্রামের সালিশি অমান্য করে মারামারি করায় শুক্রবার রাতেই মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে ও ইজিবাইক দিয়ে মাইকিং-এ প্রচার করে মনছুর মিয়াসহ তাদের গোষ্ঠীর সাত পরিবারকে সমাজচ্যুত করে গ্রামবাসী।
ভুক্তভোগীরা বলেন- ‘সমাজচ্যুত করার সময় মাইকে বলা হয় মসজিদ, দোকান, স্কুল, বাজার ও প্রকাশ্যে রাস্তা ঘাটে চলা ফেরা করতে দেখলে পরিবারের মানুষ ও ঘরবাড়ী আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে। আমারা এখন বাড়ী থেকে বের হতে পারছি না। এ নিয়ে আমাদের একজনের বিয়ে ও ভেঙ্গে গেছে। আমরা বাচ্চাদের দুধটা পর্যন্ত কিনতে পারছি না। মসজিদে পর্যন্ত যেতে পারছি না। আমরা মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
এ বিষয়ে গ্রামবাসীদের পক্ষে শামীম আহম্মেদ নামে স্থানয়ি একজন ব্যক্তি বলেন-‘তারা সমাজের কোনো নিয়ম, বিচার, সালিশি মানে না। তাদের এক ঘরে করা হয় নাই। আমরা এক ঘরে হয়ে আছি। আমরা তাদের সাথে কথা বলতে চাই না, মিশতে চাই না। এই সিদ্ধান্ত আমি নেয়নি। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই গ্রামের ৩০০ থেকে ৪০০ জন। ’
এ প্রসঙ্গে জামালপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো.সালেহীন আশেকীন বলেন, ‘এ ঘটনা জানা মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আজ রাতের মধ্যে সামাজিকভাবে সমাধান না হলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’