সরিষাবাড়ী

সরিষাবাড়ীতে প্রধান শিক্ষিকার অবহেলায় নষ্ট হলো গাছের চারা

সত্যতা পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার

স্বপন মাহমুদ, সরিষাবাড়ী: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অবহেলায় মেহগনি গাছের চারা নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ৭০নং বারইপটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায় এ ঘটনা। পরে সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি পরির্দশন করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান।

বিদ্যালয় থেকে জানা যায়, উপজেলা ভাটারা ইউনিয়নে বারইপটল গ্রামে ১৯৩২ইং সালে স্থাপিত হয় ৭০নং বারইপটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে আছেন মোছা: হেলেনা খাতুন। সম্প্রতি সারা দেশব্যাপী ২০২৫ সালে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। গত রবিবার ২২ জুন সেই ধারাবাহিকতায় সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচি অংশ হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোপনের জন্য পাচঁটি করে গাছের চারা বিতরণ করেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গাছের চারা গ্রহণ করেন ৭০নং বারইপটল প্রাথমিক বিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ।

এদিকে দিনের পর দিন অতিবাহিত হলে গাছের রোপন না করায় অবহেলায় চারা গুলোকে নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের পিয়নের মাধ্যমে মরে যাওয়া গাছ গুলোকে টয়লেটের পিছনে ফেলে রাখেন। এ বিষয়টি স্থানীয় লোকজন ও সহকারি শিক্ষকদের নজরে পড়ে। সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই বলেন, ‘প্রধান শিক্ষিকা হেলেনা খাতুন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকান্ডে প্রশ্নবৃদ্ধ। গাছের চারা পেয়েও তিনি রোপন করেনি এটা সত্যিই দুঃখজনক। স্কুল কতৃর্পক্ষে অবহেলায় এমন হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।”

বিদ্যালয়ের সরকারি শিক্ষিকা লাবণী আক্তার, মিতু আক্তার, ইয়াসমিন নাহার সহ সকল সহকারি শিক্ষক জানান, ‘গাছের চারা দিয়েছেন উপজেলা থেকে সেটা রোপন না করেই প্রধান শিক্ষিকা হেলেনা খাতুন রুমে ফেলে রেখেছেন। পরে চারা গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা সহকারি শিক্ষকরা চারাগুলো রোপন করা বিষয়ে বলেছি, কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেয়নি।

এঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হেলেনা খাতুন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানে জায়গা নিয়ে এই গ্রামের মানুষের সাথে বিরোধ চলছে, তার জন্য গাছের চারা রোপন করা হয়নি। নতুন করে আবার গাছের চারা আনা হয়েছে। সেটা রোপন করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাহিদা ইয়াসমিন জানান, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়েছি। কথা ছিলো গাছের চারা লাগিয়ে ছবি তুলে তারা আমাদের ছবি দিবেন। কিন্তু তারা গাছের চারা রোপণ করেনি। আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Related Articles

Back to top button