মেলান্দহে জনবহুল এলাকায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী পল্লী বাতিলের দাবিতে গনবিক্ষোভ
সাকিব আল হাসান নাহিদ, মেলান্দহ: জামালপুরের মেলান্দহ পৌরসভার কামদেববাড়ী এলাকার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণের প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কামদেববাড়ী ড. নুরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমবেত হয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মেলান্দহ পৌর প্রশাসক এসএম আলমগীরের নিকট লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এসময় আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মেলান্দহ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, পৌর বিএনপির ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি মকবুল হোসেন, পৌর বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ এবং জেলা নাগরিক পার্টির সদস্য আফরিন জান্নাত আঁখিসহ আরো অনেকে।
এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন-কামদেববাড়ী গ্রামটি একটি জনবহুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমৃদ্ধ এলাকা। এখানে আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মাদকসহ নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও ধর্মীয় পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইউএনওর কাছে প্রদান করা সেই স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়-মেলান্দহ পৌরসভার গোবিন্দপুর মৌজার ১৩৯৮ নং দাগভুক্ত জমিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। অথচ উক্ত ভূমি সংলগ্ন রয়েছে ডা. নূরল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, আব্দুল লতিফ কমপ্লেক্স, মহিলা মাদ্রাসা, মডেল মসজিদ, মেলান্দহ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঐতিহ্যবাহী মেলান্দহ উমির উদ্দিন পাইলট হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ একাধিক শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এছাড়া এলাকাটিতে ঘনবসতিপূর্ণ মুসলিম পরিবার এবং চাষাবাদযোগ্য তিন ফসলি জমি রয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে স্থানীয় জনজীবন মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হবে এবং সামাজিক অশান্তি দেখা দেবে।
শুধু এলাকাবাসীই নন, বর্তমানে কর্মরত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরাও কামদেববাড়ীতে আবাসন চান না। তারা বর্তমানে মেলান্দহ বাজার এলাকায় বসবাস করছেন। তাদের দাবি, বাজার এলাকার কর্মক্ষেত্রের কাছেই থাকায় কাজ করতে সুবিধা হয়। কিন্তু কামদেববাড়ীতে আবাসন হলে প্রতিদিন যাতায়াতের ঝামেলা ও অতিরিক্ত খরচ বাড়বে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেলান্দহ পৌর প্রশাসক এসএম আলমগীর বলেন- এলাকাবাসীর স্মারকলিপি আমরা গ্রহণ করেছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয় জনস্বার্থ, পরিবেশ এবং কর্মরত পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বাস্তব সুবিধা সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।