বিশেষ সংবাদ

সাংবাদিক নুরুল হক জঙ্গীর মৃত্যু নিয়ে অসমাপ্ত কিছু প্রশ্ন?

সৈয়দ শওকত জামান:

সবাই কি আমরা চোখে দেখিনা, কানে শুনিনা, জেনে শুনে দেখে লেখিনা? সবারই কি দায়িত্ববোধ নেই, বিবেকহীন? তাতো নই। জামালপুরের সাংবাদিকতার গৌরবউজ্জল অতীত রয়েছে। এর ধারাবাহিকতা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রাখতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে হবে সত্য,সুন্দর ও সাহসি সাংবাদিকতা।

দৈনিক পল্লীকন্ঠ প্রতিদিনের সম্পাদক নুরুল হক জঙ্গীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নাকি তার বড় স্ত্রী, দুই মেয়ে,মেয়ের জামাই ও তার পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন মিলে হত্যা করেছে?

ঘটনার দিন বা পরের দিন নয়, ঘটনার ১০০ দিন পরে আাদালতে হত্যা মামলা দায়ের কেন হয়েছিল?

বিজ্ঞ আদালত এই হত্যা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল পিবিআইকে।

আমার দেখামতে, আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রবীন সাংবাদিক নুরুল হক জঙ্গি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন। পরে এ্যাম্বুলেন্সে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষনা করে । উপস্থিত সাংবাদিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নুরুল হক জঙ্গির পরিবারে নানা বিষয়ে মামলা, ঝগড়াঝাটি সব মিলে পারিবারিক দ্বন্দ আছে। পোস্টমোর্টেম সম্পন্ন ছাড়া লাশ পাঠানো উচিৎ হবেনা। যদি কোন পক্ষ পোস্টমোর্টেম না হওয়ার সুযোগটি কাজে লাগান। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুকে হত্যা বলে অভিযোগ তুলে। এই ভুল করা যাবেনা সকলেই একই মত দিল। জরুরী বিভাগের করিডোরে আমাদের আলোচনার মাঝেই চিৎকার শুনে পাশে তাকিয়ে দেখি জরুরী বিভাগের সামনে স্ট্রেচার থেকে এম্বুলেন্সে জঙ্গিদার মৃতদেহ তোলার প্রস্তুতিকালে স্ট্রেচারে বসে জঙ্গিদার মৃতদেহ ঝাপটে ধরে জঙ্গিদার ছোট স্ত্রী রুমার আহাজারি আর চিৎকার ভেসে আসছে। শোনা যাচ্ছে আমার ময়নারে কাটাছেড়া করতে দিমুনা, আমার জঙ্গিরে কাঁটাছেড়া করতে দিমুনা। সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে এগিয়ে গিয়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি সাদা ভাইসহ আমরা আস্তত্ব করলাম, পরিবারের লোকজন চাইলো পোস্টমোর্টেম যেন না করতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যাবস্থা করছি। যথারিতি সবাই গিয়ে রুমাসহ পরিবারের সদস্যদের বললাম মৃতদেহ নিয়ে দাফন কাফনের ব্যবস্থা করেন, কাল সকালে জানাজায় আমরা আসছি। বাদীর অনুরোধে পোস্টমোর্টেম ছাড়াই বাদীর কাছেই মৃতদেহ বুঝে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমরা সাংবাদিকরা দাফন কাফন পর্যন্ত ছিলাম।
অপর পক্ষকে পোস্টমোর্টেম না করার কোন তৎপরতা দেখি নাই। হত্যার অভিযোগ ১০০ একদিন পর। পত্রিকার মালিকানার ঝামেলার সময়ে এই অভিযোগ।

আমি আশ্চর্য হলাম হিংসায় অন্ধ করে দিয়েছে, জ্ঞানবুদ্ধিও লোপ পেয়েছে মনে হয়। তা নাহলে একজন সম্পাদকের মৃত্যুর দীর্ঘদিন পর হত্যার অভিযোগে মামলা এতগুলো স্বাক্ষী প্রমান সামনে রেখে। আরেক সুযোগ মনে হয় নেয়া হয়েছিল যারা সড়ক থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন তারা পরিচয় না পেয়ে অজ্ঞাত হিসেবে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরতরা ভর্তি খাতায় অজ্ঞাত লিখেছিলেন। সেটাও দেখানোর সুযোগ নেই। উদ্ধার করে আনা স্থানীয় দুই ব্যাক্তির স্বাক্ষাৎকার নিয়েছিল সাংবাদিকরা। দুর্ঘটনা কিভাবে ঘটেছিল, সড়কে পড়ে থাকার বর্ণনা বলেছে তারা। তাহলে অজ্ঞাত লিখে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সিনেমার কাহিনীও কি টিকবে বিচার ট্রায়ালের আইনজীবীদের যুক্তিতর্কে। এদিকে সাংবাদিকরা আহত হতে মৃত্যু দাফন পর্যন্ত ছিল।

“সাংবাদিক নুরুল হক জঙ্গি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু” শিরোনামে টেলিভিশন,পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, স্থানীয় পত্রিকা ও স্যোসাল মিডিয়ায় সংবাদ পরিবেশিত হলো। এতগুলো গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ ক্রসচেক না করেই পরিবেশন করেছে। অভিযোগের সময়কালও তো বিবেচনায় আনবে। অভিযোগ ধুপে টিকবে। এসব হিংসায় উত্তেজিত মুহুর্তে সকলেই হটকারী সিদ্ধন্ত নিয়ে ছিল মনে হচ্ছে। আমার আরো খারাপ লাগছে, দেশবাসীর কাছে সঠিক তদন্তের বিশ্বস্ততার আস্থা কুড়ানো সংস্থা পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিল আদালত। এই জেলার একজন প্রবীণ দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকের মৃত্যু নিয়ে দাফনের পর হত্যার অভিযোগের মতো পার্শ্বকাতর তদন্ত করতে আরো সচেতন হওয়ার দরকার ছিল আমি মনে করি। তাহলে তদন্তে এসব বিষয়গুলো আপনাদেরও সামনে আসতো।

সাংবাদিক নুরুল হক জঙ্গীর কবর থেকে লাশ উত্তোলন গভীর রাতে ছোট বউ রুমার স্যোসাল মিডিয়ায় ঘোষনা দেখতে পেলাম সকালেই লাশ উত্তোলন জেনে অবাক। এত দ্রুত কবর থেকে লাশ উত্তোলন আমার সাংবাদিকতার ২৬ বছরে দেখিনি। একজন সম্পাদকের লাশ উত্তোলনের এহেন বিষয়টি সাংবাদিকদের আহত করেছে।
সাংবাদিক জঙ্গির কবর থেকে লাশ উত্তোলনের খবর নিয়ে নানা প্রশ্ন, নানা আলোচনা-সমালোচনা শ্রেণী পেশার মুখে মুখে। উত্তর দেবে কে?

লোকজনের মুখে আলোচনায় প্রশ্ন উঠছে বাদী কেন মৃত্যুর দিন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে অনুরোধ করে পোস্টমোর্টেম করতে দেয়নি। সেদিন পোস্টমোর্টেম না করার জন্য বাদীর কি কোন বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল?

পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তের প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার পর গণমাধ্যমে একজন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক হত্যার আলোচিত মামলা নিয়ে কেন প্রেস ব্রিফিং করা হলোনা?

পিবিআইয়ের তদন্ত রির্পোট প্রকাশ নিয়ে লোকোচুরি কেন?

স্যোসাল মিডিয়ায় রাতে বাদীর স্ট্যাটাসে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সংবাদ প্রকাশের পরদিন সকালে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হলো ২৪ ঘন্টার মধ্যেই?

এই তরিঘরি করে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করার পেছনেও কি কোন উদ্দেশ্য আছে?

অন্যান্য ঘটনায় কবর থেকে লাশ উত্তোলনের তথ্য আমরা বেশকদিন আগেই সংবাদ পাই আমরা সাংবাদিকরা এই মামলার বেলায় তরিঘড়ির ভিন্নতা কেন?

এভাবে নুরুল হক জঙ্গীর লাশ উত্তোলনের ঘটনায়ও কেন এই নিশ্চুপ নিরবতা। আমাদের কি কিছুই করার ছিলনা। কেন এসব বিষয় নিয়ে নিউজ হলোনা? সহকর্মী হিসেবেও দায়িত্ব এড়াতে পারি? পারিনা। সাংবাদিক হিসাবেও সঠিক দায়িত্ব পালন করেছি কি?

দৈনিক পল্লীকন্ঠ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নুরুল হক জঙ্গীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা সাংবাদিকরা হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছিলাম। হাসপাতালের জরুরী সামনে কি দৃশ্য দেখেছি। অনেক সাংবাদিক ভিভিও ধারন ও স্টীল ছবি তুলেছিলেন। কেন পোস্টমোর্টেম হলোনা ? পোস্ট মোর্টেম হয়নি দ্বিতীয় স্ত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন রুমা কান্নারত কন্ঠে অনুরোধে আবদারে। পোস্টমোর্টেম না করার তদ্বির করেছিলাম জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদার নেতৃত্বে হাসপাতালে উপস্থিত আমার সকল সাংবাদিকরা। বাদীর মামলার দাবি মোতাবেক পোস্টমোর্টেম না করার সহায়তার অভিযোগে সাংবাদিক সাদাসহ আমরা সকলেই আসামী হওয়ার কথা। সেই দোষে বাদী নিজেও দোষী। যার অনুরোধ আবদারে পোস্টমোর্টেম হলো না, সেই আবার ঘটনার ১০০ দিন পর বাদি হয়ে পোস্টমোর্টেম না করার অভিয়োগে হত্যা মামলা দায়ের করলেন। আসামী করা হলো সাংবাদিক নুরুল হক জঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের।

যার নেতৃত্বে পোস্টমোর্টেম না করার তদ্দবির করেছিলাম সেই ব্যাক্তিই হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার নেপথ্যের কুশিলব ও পিবিআইয়ে তার একজন নাতি আছে শুণা যাচ্ছে, তার মাধ্যমেই তদন্ত রিপোর্টের তদবির করে বাদির পক্ষে করিয়েছেন বলে নানা মহলে কানাঘুষা চলছে। আরও একজন লোভী সাংবাদিক সাথে আছে, তার বাড়াবাড়ি চলতে থাকলে তার মুখোশও উন্মোচন করা হবে।

এসব আরো নানা প্রশ্ন, তথ্য উপাত্ত সামনে রেখে আমরা সাংবাদিকরা কি নিউজ করেছি। ও আমিতো আবার সাংবাদিক না। আপনারা বলেন। আপনারাতো সাংবাদিক। আপনাদেরতো দায়িত্ব ছিল এসব বিষয় নিয়ে একাধিক সংবাদ পরিবেশন করার।

চোখের সামনে একজন নিহত সাংবাদিকের দুই পরিবার কুচক্রির ইন্দনে মামলার বেড়াজালে ধংস্ব হয়ে যাচ্ছে। আমরা শুধুই চেয়ে চেয়ে দেখবো। সহকর্মী হিসেবেতো নুরুল হক জঙ্গীকে স্বীকৃতি বা প্রাপ্যতা দিচ্ছেন না, সাংবাদিক হিসেবে না হোক একজন মানুষের ন্যাযতা নিয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। সাংবাদিক হিসেবে সে দায়িত্ব বেমালুম ভুলে গেলাম। যদি নুরুল হক জঙ্গীকে সহকর্মী হিসেবে মানতেন তাহলে, এমন তদন্ত প্রতিবেদনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে লাশ উত্তোলনের বিষয়ে গণমাধ্যম সরব হয়ে উঠতো, তদন্ত প্রতিবেদন বাতিলের দাবিতে আদালতে লিখিত আবেদনের পাশাপাশি প্রতিবাদ সভা সমাবেশ হতো, সাংবাদিকরা থাকতো সোচ্চার।

আমরা কেউই রাষ্ট্রের আইন ও নিয়ম অনুযায়ী জবাবদিহিতার উর্ধ্বে নই।

পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে কিছু প্রশ্ন :
আপনি কি মাঠ পর্যায়ে গিয়ে তদন্ত করেছেন? করলে কোথায় আহত হয়েছিল সেই এলাকায় প্রত্যক্ষদর্শী বা স্থানীয় লোক, কারা হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল, হাসপাতালে কেন পোস্টমোর্টেম করা হলোনা, ডাক্তার ও ইমারজেন্সিতে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছিলেন। সেই হিসেবে আমিওতো একজন স্বাক্ষী, আমার স্বাক্ষ্য নিয়েছেন কি? ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে নুরুল হক জঙ্গী খামার দিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে সড়কে আহত অবস্থায় পড়েছিল। সেই খামারে কে কে থাকতো, তার তালিকা অনুযায়ী সবার সাথে কথা বলেছিলেন? পত্রিকা অফিসে কর্মরতদের সাথে কথা বলেছিলেন? জঙ্গিদার বড় স্ত্রীসহ পরিবারের যাদের নামে মামলার আসামী ঘটনার সময় তারা কোথায় অবস্থান করেছিল। তাদের মোবাইল লোকেশন চেক করেছিলেন । সবশেষে তদন্ত রির্পোট প্রকাশ ও লাশ উত্তোলন ২৪ ঘন্টার মধ্যে কেন? এই হত্যা মামলা ও তদন্ত নিয়ে আরো অনেক প্রশ্ন রয়েছে।

নুরুল হক জঙ্গীর পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তার মৃত্যুর পর দৈনিক পল্লীকন্ঠ প্রতিদিন পত্রিকার মালিকানা দাবি করেন ২য় স্ত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন রুমা। দৈনিক পল্লীকন্ঠের সম্পাদক প্রকাশক নুরুল হক জঙ্গী তার ১ম স্ত্রী কাজলী বেগমকে মৃত্যুর অনেক আগেই পত্রিকার মালিকানা লিখে দিয়ে গেছেন। মালিকানা নিয়ে ২য় স্ত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন রুমা বেশ কিছুদিন ১ম স্ত্রী কাজলী বেগমের সাথে বাক বিতন্ডা করে। এক পর্যায়ে পত্রিকার মালিকানা পাওয়ার আইনগত সুযোগ না থাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর পোস্টমোর্টেম না করায় সেই বিষয়কে ইস্যু বানিয়ে ১ম স্ত্রী দৈনিক পল্লীকন্ঠ প্রতিদিন পত্রিকার বর্তমান মালিক কাজলী বেগম ও তার দুই মেয়ে ও মেয়ের জামাই ও পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার আগে কাজলী বেগমকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন পত্রিকা দিলরুবা ইয়াসমিন রুমার নামে লিখে দেন, তদন্ত প্রতিবেদন মামলা সবই শেষ হয়ে যাবে এমনই জানিয়েছেন কাজলী বেগম। এই তথ্য অনুসারে আমরা ধরে নিতে পারি, তাহলে পত্রিকার মালিকানা পাওয়ার জন্যই কি এই হত্যা মামলা।

দৈনিক পল্লীকন্ঠ প্রতিদিনের সম্পাদক সাংবাদিক নুরুল হক জঙ্গীর ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। বিধাতা কি পুরো নির্মম পরিহাস লিখেছেন। তার আধা লিখেছেন নিজেদের বিধাতা মনোভাবকারী দুএকজন আমাদের পেশার লোকজনই। আমাদের ঘুম ভাঙবে কবে? যদি ঘুম না ভাঙে আমার আপনার ভাগ্যের নির্মম পরিহাস করে দিবে এই ভাগ্য বিধাতারা।

স্থানীয় সংবাদপত্র সাংবাদিকতায় গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে গেছেন নুরুল হক জঙ্গী। তার কর্মজীবনে সাংবাদিকতা ও সম্পাদনার বর্ণাঢ্য কর্মজজ্ঞ আমাদের সামনে রেখে গেছেন। তিনি একজন ক্ষুরধার লেখক ছিলেন। সম্পাদকীয়, হেডলাইন, রির্পোটিং, মতামত, কলাম ও সাহিত্যসহ লেখালেখির সবক্ষেত্রে তার হাতে যাদু ছিল। প্রতিটা শব্দে আগুন ঝড়তো, ভেসে আসতো প্রতিবাদ, অসহায় নির্যাতিতদের প্রতিচ্ছবি।

বিনম্র শ্রদ্ধা নুরুল হক জঙ্গী দাদা।

Related Articles

Back to top button