জামালপুরপ্রধান খবর

জুলাই শহীদদের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত জেলা প্রশাসন, ক্ষোভ ঝাড়লেন আয়োজকরা

জামালপুরে জুলাইয়ে শহীদ ও আহতদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন অনুপস্থিত থাকায় প্রথমে বক্তব্যে এবং পরে সংবাদে সম্মেলন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আয়োজকরা।

সোমবার বিকেলে জামালপুর জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জুলাই ২০২৪-এর গনঅভ্যুত্থানে জামালপুর জেলার শহীদ ও আহতদের অবদানকে স্মরনীয় রাখতে বিশেষ আয়োজন করে শহীদ ও আহত সেল- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জামালপুর জেলা।

অনুষ্ঠানটির নাম দেয়া হয় এক নদী রক্তের দাবি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে শহীদ পরিবার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে আহত জুলাই যোদ্ধাদের রাখা হয়।

অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন আজিজুল হক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাবু, জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো: আতিকসহ জুলাই-আগস্টে শহীদের পরিবার ও আহতরা বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও আমিমুল এহসানের সঞ্চালনায় শহীদ ও আহত সেল- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়কারী আল নুর মোহাম্মদ আয়াস ও সহ-সমন্বয়ক শেখ হাসনাত জনি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এসময় আল নুর মোহাম্মদ আয়াস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন-‘ গত সপ্তাহে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফোন করে আজকের অনুষ্ঠানের বিষয়টি ডিসি হাছিনা বেগমকে জানিয়েছিলো। আমরা জামালপুরে আসার পূর্বেই গতকাল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)-কে জানিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বা তার কোনো প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়নি। জামালপুরের ডিসি মহোদয় শহীদদের পাশে থাকার বিষয়টি ভুলে গেছেন। ডিসি-এডিসি জুলাইকে ধারন করে না। তারা বিপ্লবীদের হজম করছে। তারা এখনো ফ্যাসিবাদদের ভয় পাচ্ছে । এই কারনে তারা এই অনুষ্ঠানে আসেনি। প্রশাসন শহীদ পরিবার ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের মূল্যায়ন করছে না। তারা ভুলে গেছেন যে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে তারা এই চেয়ারে বসেছে।’

সহ-সমন্বয়ক শেখ হাসনাত জনি বলেন-‌‌ আহত ও শহীদ ভাইদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন প্রোগ্রাম করবে, এখানে জেলা প্রশাসনের কেউ থাকবে না। এটা হতে পারে না। আজকে তারা উপস্থিত থাকলে শহীদের পরিবার ও আহতদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমরা কথা বলতে পারতাম। গনঅভ্যুত্থানের এখনো দুইবছর হয়নি, একবছর কয়েক মাস হয়েছে। প্রশাসনের ব্যক্তিরা বেতন পান, জনগনের টাকাই চলছেন। তাহলে জনগনের কথা শুনবেন না কেনো?

এবিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমকে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন- ‘এই বিষয়ে ফোনে এভাবে বলা যাবে না। আপনি প্রয়োজন মনে করলে আমাদের অফিসে আসতে পারেন।’

এক নদী রক্তের দাবি অনুষ্ঠানে ১৭ জন শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি ও ২৫ জন জুলাই যোদ্ধা অংশগ্রহন করেন।

Related Articles

Back to top button