মহারশি নদীর দুই পাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর
রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর: প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢল ও মহারশি নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা। ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এই দুর্ভোগ থেকে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভয়েস অব ঝিনাইগাতী’-র উদ্যোগে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে সংগঠনের স্বাক্ষরনামাসহ একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের মাধ্যমে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর জমা দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঝিনাইগাতী বাজারে অনুষ্ঠিত গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ অংশ নেন। এতে জনউদ্যোগ আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, অধ্যাপক আব্দুল কাদিরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- প্রতি বছর নদীর ভাঙনে শত শত ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, রাস্তা, বাজার এবং হাজার একরের বেশি ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। তাই জনগণের জীবন, সম্পদ ও স্থানীয় অর্থনীতি রক্ষায় স্থায়ী ও টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল হক মনির বলেন- “মহারশি নদীর ভাঙন এখন ঝিনাইগাতীবাসীর স্থায়ী দুঃখ। টেকসই বাঁধ নির্মাণই এই দুর্ভোগের একমাত্র সমাধান।”
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান জানান- দাবির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য সম্প্রতি নদীর বাঁধ ভেঙে ১০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শত একরের বেশি জমির ফসল ও মাছের ঘের ভেসে যায়।