হাসপাতালের ষ্টোর রুমে হঠাৎ আগুন
স্বপন মাহমুদ, সরিষাবাড়ী: জামালপুর সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ষ্টোর রুমে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কাগজপত্রসহ হাসপাতালের প্রয়োজনীয় মালামাল পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে। ষ্টোররুমের পাশেই ছিলো অপারেশন থিয়েটার।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল থেকে জানা যায়- সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ করে অপারেশন থিয়েটারের পাশে একটি ছোট ষ্টোর রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ষ্টোর রুমের পাশে স্তুপ করে রাখা ওষুধের খালি কার্টনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারিরা আধা ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এতে কালো ধোয়ায় হাসপাতাল ছেয়ে যায়। পরে সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনের আতংকে শিশু ওয়ার্ড ও নারী-পুরুষ ওয়ার্ডের ভর্তি রোগিরা তাড়াহুড়া করে নিচে নেমে আসে। এ সময় অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) রত্না নামে এক মেয়ে সিজারের অপারেশনের কাজ চলছিল। আগুন লাগার পরপরই সিজারের মাধ্যমে একটি নবজাতক ছেলে সন্তান ভুমিষ্ট হয়। পরে তাড়াহুড়া করে নবজাতক শিশু ও মাকে সুস্থ অবস্থায় কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। পরে আগুন লাগার ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এ ঘটনায় সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন-‘মনে হয় টানা কয়েক দিন ষ্টোর রুমে একটি বাল্ব জ্বালিয়ে রাখা হয়ে ছিল। এই থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা ডাঃ দেবাশীষ রাজবংশী বলেন-‘হাসপাতালের দ্বিতীয় তলা অপারেশন থিয়েটারের পাশে একটি ছোট সাফ ষ্টোররুমে হঠাৎ করে আগুন ও কালো ধোয়া দেখতে পাই। পরে আমার কর্মচারি নার্স সবাই উপরে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। এরপর ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন কেমনে লাগছে আমি বুঝে ওঠতে পারছিনা।
অপারেশন থিয়েটারে গাইনি ডাঃ রাশেদা পারভিন মুন্নি বলেন- ‘আগুন লাগার পরপরই সিজারের কাজ চলছিল। এ সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। পরে আগুনের আতংক থাকলেও আইপিএসের মাধ্যমে সিজারের কাজ শেষ করি এবং লোকজনের সহায়তায় নবজাতক ছেলে শিশু ও মা রত্নাকে নিয়ে কেবিনে স্থানান্তর করি। এতে কারো কোনো প্রকার ক্ষতি হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহছেন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাসপাতালের ষ্টোর রুমে আগুনের ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে। এ টিমে উপজেলা প্রশাসনের একজনসহ ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, পিডিবি ও ডাক্তারের একজন করে প্রতিনিধি রাখা হবে।




