মেলান্দহ

ছাত্রী হলের দায়িত্বে ছাত্রদল নেতারা, সমালোচনার ঝড়

মোঃ মিরাজুল ইসলাম, ​জাবিপ্রবি: ​জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিপ্রবি) ছাত্রীদের হলের কমিটি গঠনের সাংগঠনিক দায়িত্ব ছাত্রদল নেতাদের দেওয়ায় তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার মধ্যেই ছাত্রী হলের কমিটি গঠনের দায়িত্বে পুরুষ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং হল গুলোর কমিটির গঠন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

​বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে এ সংক্রান্ত একটি সাংগঠনিক নোটিশ প্রকাশ করেন।

​শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম আবদুল্লাহ আল মাসুদ এবং সদস্য সচিব যীনাত মিয়া আজিজুলের স্বাক্ষরিত ওই নোটিশের মধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় এবং তাদের মতামত অনুযায়ী ছাত্র ও ছাত্রী হলের সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি ও কমিটি গঠনের লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়।

​নোটিশে ছাত্র হলের দায়িত্বে যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হামজা, সদস্য মোহাম্মদ আমানউল্লাহ ও রবিউল ইসলাম রিমনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে বিতর্কের সূত্রপাত হয় ছাত্রী হলের কমিটি নিয়ে।

​ছাত্রী হলের দায়িত্বে যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন, সদস্য সাদ ইবনে ওয়াহিদ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আদিবা হক মিলাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিতে দুজন ছাত্রকে (ইকরাম ও সাদ) রাখায় শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন তুলেছেন। এছাড়া জানা গেছে, ছাত্রী হল কমিটি গঠনের দায়িত্বে থাকা কোনো সদস্যই হলের স্থায়ী আবাসিক ছাত্রী নন।

​নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, “ছাত্রী হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ছাত্রদের দায়িত্ব দেওয়াটা গ্রহণযোগ্য নয়। এ ছাড়া হলে আমরা কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বা কমিটি চাই না। বিষয়টি নিয়ে গ্রুপেও আলোচনা হয়েছে।”

​শিক্ষার্থীদের দাবি- রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও এমন সাংগঠনিক ঘোষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাওয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

​উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. নুর হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, ক্যাম্পাসের ভেতরে ও প্রাঙ্গণে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং কিংবা প্রচার কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, লোগো ও প্রতীক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করাও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হবে।

Related Articles

Back to top button