রৌমারী-চর রাজিবপুর

রৌমারীতে গ্রামের ভাঙা রাস্তা মেরামতে ডা. আব্দুস সামাদের মানবিক উদ্যোগ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের নটান পাড়া গ্রামের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উত্তর পাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর নিত্যদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বর্ষার সময় তো এই দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষ,  কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাতায়াত করে। যাতায়াতের ওই গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য এই ভাঙা রাস্তা যেন এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়।

মঙ্গলবার ২২ জুলাই সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় এসব তথ্য।

রাস্তাটি গ্রামের মধ্যবর্তি বসবাসরত মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। নটান পাড়া থেকে উপজেলা সদর বা আশেপাশের স্কুল, বাজার, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাড়াতাড়ি পৌঁছানোর জন্য গ্রামবাসীর এই রাস্তাই একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন রাস্তাটির কোনো সংস্কার না হওয়ায় মাঝখানে ভাঙন সৃষ্টি হয়। বর্ষার পানিতে রাস্তার বিভিন্ন অংশ দেবে গিয়ে কাদা-পানিতে ভরে যায়। অনেক জায়গায় বড় গর্ত হয়ে পড়ে, যা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হয়ে ওঠে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ- প্রতিদিন স্কুলে যেতে গিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কাদায় পিছলে পড়ে যায়, কাপড় নষ্ট হয়, অনেক বড় গর্তের কারনে অচল হয়ে পড়ে রাস্তটি। এমনকি অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়ার সময় মাঝপথে গর্তে আটকে যেতে হতো। গ্রামের প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনে এই রাস্তা একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

এই অবস্থায় এগিয়ে আসেন রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: আব্দুস সামাদ। তিনি তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বস্তা ও মাটি ফেলে রাস্তাটির চলাচলের উপযোগী করে তোলেন। তার এই মানবিক উদ্যোগে মুহূর্তেই বদলে যায় এলাকার চিত্র।

গ্রামের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে জানান- অনেক দিন পর নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মজনু মিয়া বলেন-‘এই রাস্তা দিয়ে বাচ্চারা স্কুলে যেতে কষ্ট হতো। ডা. সাহেব নিজের টাকায় মাটি ফেলে রাস্তা ঠিক করে দিয়েছেন, আমরা চির কৃতজ্ঞ।

আরেকজন স্কুল শিক্ষার্থী রায়হান জানায়- আগে স্কুলে যেতে ভয় লাগতো, এখন আর ভয় লাগে না। রাস্তা ভালো হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: আব্দুস সামাদ বলেন- ‘আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে শুধু অফিসে বসে কাজ করলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। সমাজের সমস্যাগুলো দেখলে সাধ্যমতো এগিয়ে আসাই আমাদের কর্তব্য। আমি চেষ্টা করেছি মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে। রাস্তা স্থায়ীভাবে সংস্কার করা জরুরি, সেটা প্রশাসনের পক্ষ থেকেই হওয়া উচিত।’

Related Articles

Back to top button