জামালপুরে পৌর কর্মচারী ও আওয়ামী লীগ নেতাকে আটকের পর ছেড়ে দিলো পুলিশ
শাওন মোল্লা ও হৃদয় আহম্মেদ: জামালপুরে আটকের পর অসুস্থতার কারনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে পৌর কর্মচারী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতাকে।
আবু খালেক নামে সেই ব্যক্তিকে পৌরসভা কার্যালয় থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যান পুলিশ। পরে কার্যালয় তালাবদ্ধ করে থানার সামনে অবস্থান নেন পৌরসভার কর্মচারীরা। তার ২ ঘন্টা পরে আবু খালেক কে থানা থেকে ছেড়ে দেন পুলিশ।
সোমবার (৪ আগষ্ট) দুপুর ২ টার দিকে পৌরসভা কার্যালয় থেকে আটক করে থানা নিয়ে যান পুলিশ। পরে বিকাল ৪ টায় সদর থানা পুলিশ আবু খালেককে ছেড়ে দেন।
এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ বলছেন-‘বিগত আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল কি না তা জিজ্ঞাসাবাদের করার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে দেখা গেছে সেবামূলক কাজে তিনি নিয়োজিত ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি অসুস্থ।’
আবু খালেক জামালপুর পৌরসভার টিকাদানকারী সুপারভাইজার এবং পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।
খবর নিয়ে জানা গেছে-‘পৌরসভার টিকাদানকারী সুপারভাইজার আবু খালেককে পৌরসভা কার্যালয় থেকে আটক করে জামালপুর সদর থানা পুলিশ। পরে তাঁকে জামালপুর সদর থানায় নেওয়া হয়। তাঁর কিছু পরেই পৌরসভার সকল কর্মচারী কাজ বন্ধ করে কার্যালয় তালাবদ্ধ করে কর্মচারীরা ও পৌরসভা নির্বাহীসহ আটক আবু খালেককে ছাড়িয়ে নিতে সদর থানার সামনে আসেন। তারা সেই খানে প্রায় ২ ঘন্টা অবস্থান নেন। পরে ৪ টার দিকে থানা থেকে আবু খালেক কে ছেড়ে দেন পুলিশ। পরে কর্মচারীরা সদর থানা থেকে পৌরসভা কার্যালয় পর্যন্ত পায়ে হেঁটে আসেন। এসময় আবু খালেককে সবার সামনে রেখে সবাই হেঁটে হেঁটে আসেন পৌরসভা কার্যালয়ে। পরে সবাই কার্যালয়ে ভেতরে ঢুকলে কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সাইফুজ্জামান তালুকদার বক্তব্য দেন।
এসময় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান তালুকদার বক্তব্যে বলেন,’খালেক সাহেবকে অনুরোধ করে বললো আজকের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। আপনাকে বলবো থানা থেকে যে নির্দেশনা দিয়েছে তা চাকরি কালীন অবস্থায় মেনে চলবেন।
এসময় প্রকৌশলীকে কি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এটি জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন-‘আমাদের এক স্টাফ অফিসে কর্মরত অবস্থায় পুলিশ তাকে আটক করে। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন মামলা নেই। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা মামলা না থাকায় পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে তাঁকে নিয়ে এসেছি।’
এঘটনায় জামালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মকবুল হোসেন বলেন-‘বিগত আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল কি না তা জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে দেখা গেছে যে সেবামূলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। তাঁর কর্মকাণ্ড বর্তমান এই সরকারের পরিপন্থী নয়। এছাড়াও তিনি হার্টের রোগী এবং চাকরি আর মাত্র চার মাস রয়েছে। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’