৫ সন্তানের জননীকে বিয়ে করলেন বিএনপি নেতা , সাংবাদিককে মামলার হুমকি
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় ৫ সন্তানের এক জননীকে বিয়ে এবং তার আগের স্বামীর অর্থ ও স্বর্ণ লুটের অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ব্যাক্তির নাম মোঃ হেলাল। তিনি উপজেলার ২নং কড়ইচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও মহিষ বাথান উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক। এর আগে তিনি আরও ৫টি বিয়ে করেছেন। এটা তার ষষ্ঠতম বিয়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে ওই ইউনিয়নের মহিষবাথান পশ্চিম পাড়া এলাকায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই বিএনপি নেতা মাদারগঞ্জের এক সাংবাদিককে মামলার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় মাদারগঞ্জ থানা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী আরেকটি বাহিনীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে ওই নারীর পুত্র।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়- মহিষবাথান এলাকার ৫ সন্তানের এক গৃহবধূ সম্প্রতি নিখোঁজ হন। পরে জানা যায়, কড়ইচুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হেলাল মাস্টারের সঙ্গে তিনি পালিয়ে গেছেন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে ওই নারীর পুত্র উল্লেখ করে লিখেছেন-‘আমার বাবা আনুমানিক বিগত ২ বছর পূর্বে মৃত্যু বরণ করেন। আমার বাবা মৃত্যুর আগে তার সকল অর্থ ও স্বর্ণ সব কিছু আমার মার কাছেই রাখেন । বিগত ১ মাস আগে থেকে আমার মা বিএনপি নেতার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলত। পরে বিএনপি নেতার কুপরামর্শে আমার মা নগদ ১১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণলংকায় নিয়ে তার বাড়ীতে চলে যায়। স্বর্ণের আনুমানিক বর্তমান বাজার মূল্য ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আমরা চার ভাই এক বোন। বর্তমানে আমরা খুবই কষ্টে দিন যাপন করছি। পরবর্তীতে আমি টাকা চাইতে গেলে মা টাকা দিতে অস্বীকার করে ও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে নিখোঁজ গৃহবধূর স্বজনরা জানান- তারা এ ঘটনায় হতবাক এবং লজ্জিত। লোকলজ্জার ভয়ে তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি। তবে তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক জনকন্ঠের মাদারগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ শাহীনের মামলা করার হুমকি দিয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির নেতা হেলাল।
সাংবাদিক শাহীন বলেন- ‘অভিযোগটি দেখার পর আমি নিউজ করার সিদ্ধান্ত নেই এবং বিএনপি নেতার বক্তব্যের জন্য তাকে ফোন দেই। ফোনে বিষয়টি বলার সাথে সাথে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। শুধু তাই নয়, তিনি আমার নামে মামলা করার হুমকি দেন।
তবে বিষয়টি জানতে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মোঃ হেলালের মোবাইল ফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি প্রথমে অভিযোগের বিষয়ে শোনেন। পরে তিনি ফোনটি কেটে দেন।
মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ জানান-‘এই বিষয়টি শুনেছি। তবে অভিযোগের বিষয়টি মনে পড়ছে না। এই বিষয়ে আমি খোজ নিচ্ছি।’
মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. মঞ্জুর কাদের বাবুল খান বলেন-‘ আমি বিষয়টি জানি। তারা বৈধভাবে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছে। এখানে অবৈধ কিছু হয়নি। যদি অবৈধ কিছু হতো তাহলে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হতো। ’