বকশীগঞ্জপ্রধান খবর

পদবঞ্চিত নেতাদের কর্মী সমাবেশ, উপজেলা বিএনপির নিন্দা

মতিন রহমান,বকশীগঞ্জ: জামালপুরের বকশীগঞ্জে  একটি কর্মী সমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপির বহিষ্কৃত ও পদবঞ্চিত কিছু নেতার । আর সংবাদ সম্মেলন করে এটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি  এবং তাদের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

মঙ্গলবার বিকেলে বকশীগঞ্জ খয়ের উদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে (প্রেস ব্রিফিং) মূল ধারার বিএনপির নেতারা এই সমাবেশের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মানিক সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিছুজ্জামান গামা এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার শাকিল।

বক্তারা বলেন- গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বকশীগঞ্জে উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের আগে থেকেই আওয়ামী লীগের দোসর ও বহিষ্কৃত কিছু নেতাকর্মী বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র ও পাঁয়তারা করে সম্মেলন বানচালের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের সব বাধা ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

পরে গত ১২ মার্চ উপজেলা ও পৌর বিএনপির আংশিক কমিটি এবং সম্মেলনের ছয় মাস পর ১৮ আগস্ট ১০১ সদস্য বিশিষ্ট দুটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগের দোসর ও বহিষ্কৃত নেতারা এই কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। এর ফলস্বরূপ, তারা আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মূলধারার সকল বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনকে বাদ দিয়ে একটি কর্মী সমাবেশের আয়োজন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন- এই সমাবেশ সম্পূর্ণ ভাবে দলের নিয়ম পরিপন্থী এবং এটি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত। মূলধারার নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে এই ধরনের সমাবেশ করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

বক্তারা আরও জানান- এই বিতর্কিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম। বক্তারা সাংগঠনিক বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে তাকে এই সমাবেশে উপস্থিত না থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান। একই সাথে, তারা সাবেক আইজিপিকে মূলধারার নেতাকর্মী ও বর্তমান কমিটির সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান, যাতে দলের মধ্যে ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় থাকে।

সবশেষে বক্তারা কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন- যারা দলের নিয়ম ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করবে এবং দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Articles

Back to top button