পানি কমছে, ভেসে উঠছে পাহাড়ি ঢলের ক্ষতচিহ্ন: দুইজনের মৃত্যু
রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর: টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পর শেরপুরে বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামছে। তবে পানির তলায় ডুবে থাকা ক্ষতচিহ্নগুলো ধীরে ধীরে ভেসে উঠছে এবং এতে প্রকাশ পাচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ও ফসলি জমির ক্ষতির চিত্র।
ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে সদর বাজার ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। পানির তীব্র স্রোতে ভেসে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা ব্রিজ এলাকায় ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে গিয়ে চেল্লাখালি নদীতে ডুবে যায় হুমায়ুন (১২) নামে এক কিশোর। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল তার মরদেহ উদ্ধার করে। এদিকে ঝিনাইগাতীর ডাকাবর এলাকার যুবক ইসমাইল পানিতে ভেসে আসা গাছ তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হন এবং পরে স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়- চেল্লাখালি, মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় অন্যান্য নদীর পানি নামছে। তবে তলিয়ে যাওয়া অনেক এলাকা এখনো পানিবন্দি রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, “পানি কমতে শুরু করেছে, কিন্তু ভেসে আসা ঘরবাড়ি ও ধানক্ষেত এখনো দেখা যাচ্ছে। পাহাড়ি ঢলের ক্ষতচিহ্ন ধীরে ধীরে ভেসে উঠছে। আমরা শেরপুর জেলা প্রশাসন ও সরকারের কাছে আবেদন জানায়, নদীর দুই পাশে যেন স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়।”