জামালপুরে মামলা দায়েরের তিন দিন আগে এক ব্যক্তিকে আটকের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ঘটনার সময় মামলার তৃতীয় আসামী ঢাকাতে অবস্থান করলেও তদন্ত না করে মামলার এফআইআর করার অভিযোগ উঠেছে জামালপুর সদর থানার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। আর এসবের প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷
শনিবার দুপুরে উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের জালালের পাড়া এলাকায় গ্রামবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয় ৷ এতে শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
এসময় আটক আলফাজের স্ত্রী অবিরন, কন্যা আলো বেগমসহ স্থানীয় গ্রামবাসী বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন-গত ২১ আগষ্ট বাড়ি থেকে ১০ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর জামালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন জালালের পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সামাদ। এই মামলায় প্রতিবেশী আলফাজ, তার স্ত্রী অবিরন ও কন্যা আলো বেগমকে আসামী করা হয়। তবে মামলা দায়েরের আগে ২৯ আগস্ট আলফাজকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এর তিন দিন পর মামলা দায়ের করা হয়। আর ঘটনার সময় ঢাকাতে অবস্থান করছিলেন মামলার তৃতীয় আসামী আলো বেগম।
বক্তারা আরো বলেন-‘মামলার আগেই প্রথমে বাড়িতে ও পরে থানাতে আলফাজকে একাধিকবার শারীরিকভাবে নির্যাতন করে পুলিশ। আলফাজকে দেখতে গিয়ে আটক হন তার স্ত্রী মোছা: অবিরন। এরপর তাদের কারাগারে প্রেরন করলে আদালত অবিরনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং আলফাজকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।’
এই মামলাটি প্রত্যাহার ও আলফাজের নি:শ্বর্ত মুক্তি দেয়া না হলে আগামীতে বড় আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।
তবে এসব বিষয়ে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো: আতিক বলেন-‘আমরা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা বিষয়টি তদন্ত করবো। যদি আসামী নিরপরাধ থাকে তাহলে তিনি ন্যায় বিচার পাবেন।’
আসামী আলফাজ পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক।