মেলান্দহ

ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠান

মোঃ মিরাজুল ইসলাম,জাবিপ্রবি: জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের দুই শতাধিক নবীন শিক্ষার্থীদেরকে বরণ করে নিতে নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।

শনিবার সকাল ১০টায় জামালপুর শহরের ব্রম্মপুত্র কমিউনিটি সেন্টারে এই নবীন বরণ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। উপহার হিসেবে কলম, শিবিরের সংক্ষিপ্ত পরিচিত এবং আত্মশুদ্ধিমূলক কিছু বই দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং কেন্দ্রীয় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাফেজ আবু মুসা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ডা. নিয়াজ রহমান।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জামালপুর জেলার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, ঝিনাইদহ জেলার সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়াল।

অনুষ্ঠানে জাবিপ্রবির ছাত্রশিবিরের সদস্য আবু-সাইম, হাফেজ মামুনুর রশীদ ও আহাদ আল ফাহাদসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে সফল ক্যারিয়ার গড়তে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন- বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে— নিয়মিত পড়াশোনা, সহশিক্ষা কার্যক্রম , দক্ষতা উন্নয়ন, মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং দেশপ্রেম। এই গুণাবলিই একজন শিক্ষার্থীকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী একাধিক নবীন শিক্ষার্থী শিবির সম্পর্কে তাদের পূর্বের ধারণার পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক নবীন নারী শিক্ষার্থী কুলসুম জাহান নিপা বলেন, “ছাত্রশিবির সম্পর্কে আগে অনেক নেতিবাচক কথা শুনেছি। তাদের কার্যক্রম আসলে কেমন, তা জানার আগ্রহ থেকেই এখানে এসেছি। আসার পর শিবির সম্পর্কে আমার ধারণা সম্পূর্ণ বদলে গেছে। তারা শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য কোনো চাপ দেয়নি বরং একজন সৎ মানুষ হিসেবে কীভাবে জীবনযাপন করা উচিত এবং সফল হওয়ার জন্য কী প্রয়োজন, সেই দিকনির্দেশনাই দিয়েছে। তাদের কার্যক্রম আমার খুব ভালো লেগেছে।”

আরেকজন নারী শিক্ষার্থী জানান, “এখানে আসার আগে আমার অনুভূতি ভালো ছিল না। কিন্তু আজকের অনুষ্ঠানে এসে তাদের সম্পর্কে আমার সব নেতিবাচক ধারণা ইতিবাচকে রুপান্তরিত হয়েছে।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী সৈবাল বড়ুয়া বলেন- “আমাদের এখানে কেউ জোর করে আনেনি। দাওয়াত পেয়েছিলাম, তাই বন্ধুদের সাথে এসেছি। অতিথিরা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য দিকনির্দেশনামূলক ও অনুপ্রেরণামূলক কথা বলেছেন, যা আমাদের খুব কাজে লাগবে।”

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম বলেন- “বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন এসে সঠিক গাইডলাইনের অভাবে আমরা অনেকেই ভুল পথে চলে যাই। ছাত্রশিবির আজকের এই আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের একটি সঠিক পথের ধারণা দিতে পেরেছে। গতানুগতিক অন্যান্য অনুষ্ঠানের চেয়ে আজকের আয়োজনটি অনেক বেশি শিক্ষামূলক ছিল। এই সুন্দর আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে ধন্যবাদ জানাই।”

Related Articles

Back to top button