বকশীগঞ্জে দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ
দুর্নীতির কারণে বেতন বাতিল হলেও ঘুষ দিয়ে এমপিও চালুর চেষ্টার অভিযোগ
মতিন রহমান, বকশীগঞ্জ: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয়রা।
সাধুরপাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তার শ্যালিকার বেতন-ভাতা (এমপিও) বাতিল হলেও ঘুষ দিয়ে তা পুনর্বহালের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে ল্যাব সহকারী মহসিন আল সিফাতের বিরুদ্ধেও।
রবিবার দুপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সাধুরপাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এবং তার শ্যালিকা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক শরিফা আক্তারের মাসিক বেতন-ভাতা (এমপিও) বাতিল করেছে। এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর গত ২৮ আগস্ট এই সিদ্ধান্ত নেয় মাউশি।
তবে মাউশির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক একটি চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ করে ঘুষের বিনিময়ে এমপিও পুনর্বহালের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভাটি খেয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান।
তিনি বলেন, “দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরও অভিযুক্ত শিক্ষকেরা মাউশির পরিচালক অধ্যাপক কাজী মো. আবু কাইয়ুম শিশিরের সঙ্গে আঁতাত করে বেতন চালুর চেষ্টা করছেন।”
অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন খালিদ সাইফুল্লাহ, বাবু মোল্লা, আতাউর মোল্লা এবং শরিফ মিয়া।
তারা বলেন- মাউশির ওই পরিচালকের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এবং ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে তার অপসারণের দাবিতে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বক্তারা আরও জানান- প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ টানা ১৬ বছর ধরে তার শ্বশুরকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে রেখেছিলেন এবং একটি বাতিল হওয়া কমিটির মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর জালিয়াতির প্রমাণও পাওয়া গেছে।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।