প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
দুর্নীতি প্রমাণিত, এমপিও বন্ধ -তবুও স্বপদে বহাল থাকার চেষ্টার অভিযোগ
মতিন রহমান, বকশীগঞ্জ: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এবং তার শ্যালিকা সহকারী প্রধান শিক্ষক শরিফা আক্তারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সরকারি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) তাদের মাসিক বেতন-ভাতা (এমপিও) বন্ধ করে দেয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ- বেতন বন্ধ হওয়ার পরও অভিযুক্ত শিক্ষকেরা নিজেদের বাঁচাতে স্থানীয় কবরস্থান নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আশ্রয় নিচ্ছেন। এলাকাবাসী এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ বেআইনি আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ জানান।
রবিবার দুপুরে সাধুরপাড়া মোল্লা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানের কাছে মোল্লা বাড়ি ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন- প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ তার শ্বশুরকে টানা ১৬ বছর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে রেখেছিলেন। একটি বাতিল কমিটির মাধ্যমে শ্যালিকাকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন এবং তার বিরুদ্ধে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর জালিয়াতির মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে।
এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেন যে- দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় এমপিও বন্ধ হলেও, অভিযুক্ত দুই শিক্ষক প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে ‘আঁতাত’ করে এবং ঘুষের বিনিময়ে বেতন পুনর্বহালের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা মাউশির পরিচালক অধ্যাপক কাজী মো. আবু কাইয়ুম শিশিরের সঙ্গে আঁতাত করে বেতন চালুর চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেন।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক শরিফা আক্তারকে স্থায়ীভাবে অপসারণের দাবি জানান। তারা হুঁশিয়ারি দেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।