ইসলামপুরে বেড়েছে বিবাহ বিচ্ছেদ
ফিরোজ শাহ, ইসলামপুর: জামালপুর ইসলামপুরে গত কয়েক বছরে বেড়েছে বিবাহ বিচ্ছেদ,পরকীয়া, কম বয়সে বিয়ে, বাল্য বিয়ে, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার ও প্রবাস জীবনের কারণেও বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সচেতনতা বৃদ্ধি করে, দেশের প্রচলিত আইনের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে, বিবাহ বিচ্ছেদ কিছিটা কমবে বলে ধারণা সচেতন মহলের।
জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের তথ্যমতে ২০২৫ সালে এ উপজেলায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫ শত। দৈনিক গড়ে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে ৮ জনের । এসব ঘটনার জন্য পরকীয়া, অপরিণত বয়সে বিয়ে, তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ এসবকে দায়ী করেছেন সচেতন মহল সহ সংশ্লিষ্টরা।
বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে অনেকেই হচ্ছেন মামলার শিকার,ঘুরছেন আদালতে, সেখানেও পড়ছেন বিড়ম্বনায়। আইনের সঠিক ব্যবহার,পারিবারিক শিক্ষা, সচেতনতা বাড়ানো ও তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার বন্ধ হলে বিবাহ বিচ্ছেদ কমতে পারে বলে ধারণা সচেতন মহলের।
উপজেলা সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত ব্যক্তি সৈয়দ মাসুদ রাজা বলেন- বিবাহ বিচ্ছেদের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ তথ্য প্রবাহের অবাধ বিচরণ। এর কারনে পরক্রিয়ার প্রবনতা দিন দিন বৃদ্ধি হচ্ছে। এতে করে অনেক মানুষ প্রতিষ্ঠিত সংসার ছেড়ে অন্যের হাত ধরে চলে যাচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ডা. মো. আবু তাহের বিবাহ বিচ্ছেদের প্রধান কারন হিসাবে বাল্যবিবাহকে দায়ী করছেন।এছাড়াও কম বয়সে বিয়ে হলে ছেলে মেয়ে দুজনেরই স্বাস্থ্যঝুকির কথা জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে আরা জানান- পারিবারিক বন্ধনের দূরত্ব, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারের কারণেও বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। যৌতুক প্রথা বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ। এই প্রথা বিলুপ্ত না হলে এই সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব না বলেও জানান তিনি।
পারিবারিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে গুরুত্ব দিলে সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ অনেকাংশে কমে যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।