জামালপুর

পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় স্বজনকে হয়রানীর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: জামালপুরে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় স্বজনকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।

দুপুরে প্রেসক্লাব জামালপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর বড় ভাই রাশেদুল ইসলাম।

মোঃ রাশেদুল ইসলাম জামালপুর শহরের দক্ষিন কাচারীপাড়া এলাকার হারুন অর রশিদের সন্তান।

লিখিত বক্তব্যে রাশেদুল ইসলাম বলেন- ‘আমরা এক ভাই ও এক বোন এবং আমাদের মা মোছা: রাবেয়া খাতুন জীবিত আছেন। আমার বাবা হারুন অর রশিদ চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর জামালপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সিংহজানী মৌজায় অবস্থিত আামাদের বসতবাড়ির ২২শতাংশ জমি আমাকে রেজিস্ট্রি করে দেয়। এর আগে আমার ছোট বোন মনিরা আক্তারকে ১০ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। এরপর আমার বোন আমাদেরকে পারিবারিকভাবে হয়রানি ও হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিচ্ছে যে- মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে ও ঘুষের বিনিময়ের মাধ্যমে জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।’

রাশেদুল ইসলাম আরো বলেন-‘আমার ছোট বোন মনিরা আক্তারের স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ সরকার প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা প্রতারনার মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছে। এই মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআিই। পিবিআই কার্যালয়ে স্বশরীরে গিয়ে আমার মা রাবেয়া খাতুন , স্বাক্ষী ও আত্মীয় স্বজনেরা আমার পক্ষে স্বাক্ষী দিয়েছেন।  আমি সরকারি খরচে জমি রেজিস্ট্রি করেছি। তারা অভিযোগে ঘুষের যে কথা বলছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা,ভূয়া, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।’

রাশেদুল ইসলাম  বলেন- ‘পৈত্রিক সূত্রে আমাদের আরো জমি রয়েছে। ওয়ারিশ সূত্রে সেইসব জমির ভাগ পাবে আমার বোন। এসব জমি লিখে দেয়ার আগেই তারা প্রভাব খাটিয়ে আমার নামে অপপ্রচার করছে, মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। ‘

এ প্রসঙ্গে পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাবিবুল্লাহ সরকার মোবাইল ফোনে বলেন- এটা তাদের ভাই বোনের বিষয়। জমির মালিক তো আমি না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

Related Articles

Back to top button