জামালপুরপ্রধান খবর

দুই বছর পর শিশু হাবিবা হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই

হৃদয় আহম্মেদ শাওন, জামালপুর:  জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে চার বছরের শিশু নুসরাত জাহান হাবিবা হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জামালপুর।

সোমবার বিকেল ৪টায় জামালপুরের পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পিবিআই-এর পুলিশ সুপার পংকজ দত্ত হত্যাকান্ডের তথ্য ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতের তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার পংকজ দত্ত জানান- ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বাঘারচর বেপারীপাড়া এলাকায় বাবা মোঃ আশরাফুলের সাথে  সিঙ্গারা খেতে বের হয় হাবিবা। আশরাফুল দুইটি সিঙ্গারা কিনে দিয়ে হাবিবাকে বাড়ির দিকে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে বাঘারচর বাজারে যান। পরে বেলা ১১টার দিকে আশরাফুল বাজার শেষে বাড়ি ফিরে জানতে পারেন যে- দোকান থেকে বাড়িতে আসেনি হাবিবা।  দুই দিন খোঁজাখুঁজির পর ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে বাড়ির আঙিনায় পাওয়া যায় হাবিবার মরদেহ। সেই সময় মরদেহের চোখ-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে দেওয়ানগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহত শিশু হাবিবার পিতা মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

এরপর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স-এর নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই।

পংকজ দত্ত জানান- সব ক্লু শেষে পারিবারিক কলহের দিকে নজর দেয় পিবিআই। তখন প্রতিবেশী মোঃ বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোঃ আমির হামজা’র সাথে আশরাফুলদের কিছু কলহের বিষয় জানতে পারে পিবিআই। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহাতীতভাবে আমির হামজাকে আটক করে পিবিআই। পরে শিশু হাবিবাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার শেষে সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় আমির হামজা।

আমির হামজাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পিবিআই এর পুলিশ সুপার পংকজ দত্ত জানান- পারিবারিক কলহের জেড় ধরে প্রথমে হাবিবাকে অপহরনের পর অর্থ আদায়ের পরিকল্পনা করেছিলো। কিন্তু অপহনের সময় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মারা যায় হাবিবা। এরপর তাকে ধর্ষন করে আশরাফুলের বাড়ির পাশে ফেলে রাখে আমির হামজা।

পংকজ দত্ত জানান- এই ঘটনার সাথে জড়তি বাকিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। খুব কম সময়ের মধ্যে সকল আইনের আওতায় আনা হবে।

Related Articles

Back to top button