শেরপুরে নালিতাবাড়ী সীমান্ত থেকে বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার
রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী জঙ্গলে একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হাতিটিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে বন বিভাগ।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দাওধারা-কাটাবাড়ি বনের পাশে হাতিটির মৃতদেহ বন বিভাগ উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. দেওয়ান আলী।
এদিকে হাতি মৃত্যুর খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।
বন বিভাগ জানায়- বন্যহাতি আক্রমণ থেকে বাড়িঘর ও ফসল রক্ষার জন্য স্থানীয় কৃষকরা জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে রাখেন। এতে আলো দেখে ভয়ে বন্যহাতির দল ধানখেতে ও লোকালয়ে কম প্রবেশ করে।
গতকাল শুক্রবার রাতে ৮-১০ টি বন্যহাতির একটি দল খাবারের সন্ধানে নাকুগাঁও এলাকা থেকে দাওধারা-উত্তর কাটাবাড়ি এলাকায় আসে। শনিবার সকালে ওই এলাকায় একটি মৃত হাতি পড়ে থাকার খবর পেয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাতের কোন এক সময় হাতিটিকে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা পড়েছে বলে ধারণা করছে বন বিভাগ।
শেরপুর জেলা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-আমিন জানান, শনিবার ভোররাতে একটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাই। ঘটনাস্থলে বিদ্যুতের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তবে শুঁড়ে সামান্য পোড়ার মতো দাগ আছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে মধুটিলা রেঞ্জের কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, মাদী হাতিটির বয়স ১৫ থেকে ১৬ বছর হবে। রাতের কোন এক সময় হাতিটি বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে প্রাণিসম্পদ বিভাগ মৃত হাতিটির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। সব প্রক্রিয়া শেষে সেখানেই হাতিটিকে মাটিচাপা দেওয়া হবে।