বকশীগঞ্জে ঘুমন্ত সতীনকে ছুরির আঘাত
মতিন রহমান,বকশীগঞ্জ: জামালপুরের বকশীগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত অবস্থায় সতীন ছুরির আঘাত করে পালিয়েছে এক নারী।
এই ঘটনায় গুরুতর আহত শিরিনা বেগম (৩০) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
গত সোমবার (২১ জুলাই) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ধানুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্বামী আনোয়ার হোসেন পাঁচ বছর আগে তার প্রথম স্ত্রী শিরিনা বেগম এবং চার সন্তানকে রেখে একই গ্রামের আব্দুল আহাদ ওরফে লাল শিয়ালের মেয়ে শান্তিকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে দীর্ঘদিন তিনি ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। এই সময়ে প্রথম স্ত্রী শিরিনা বেগম শাশুড়ি ও সন্তানদের নিয়ে মানুষের বাড়িতে কাজ করে ছোট্ট একটি ঘরে বসবাস করতেন।
দীর্ঘদিন পর দ্বিতীয় স্ত্রী শান্তি বেগম স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর থেকেই প্রথম স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া এবং পারিবারিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই সতীনের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। ঘটনার আগেরদিনও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রীর তীব্র ঝগড়া হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
আহতের স্বজনেরা জানান- ঘটনার দিন রাতে খাবার খেয়ে একই ঘরে শুয়ে ছিলেন দুইজন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আনোয়ার হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী মোছাঃ শান্তি বেগম ঘুমন্ত অবস্থায় তার প্রথম স্ত্রী শিরিনা বেগমকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন এবং দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
চিৎকার শুনে স্থানীয় প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় মোছাঃ শিরিনা বেগমকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মোর্শেদ আলি ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিরিনা বেগমকে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, “ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।