ছাত্রদল নেতার মাদক সেবনের ছবি ভাইরাল, সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত
জামালপুর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট কলেজ ছাত্রদল এর সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান শাকিল এর মাদক সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তার পদ স্থগিত করেছে জামালপুর জেলা ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকাল চারটায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. আতিকুর রহমান সুমিল ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর যৌথ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়- সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জামালপুর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট কলেজ ছাত্রদল (মাদারগঞ্জ) এর সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শাকিল এর পদ স্থগিত করা হইলো এবং তাঁর সাথে ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মীর সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হইলো।
গত ১৬ জুলাই জামালপুর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট কলেজ ছাত্রদলের ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি প্রদান করেন জেলা ছাত্রদল। কমিটির এক মাস যেতে না যেতেই কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান শাকিল ও তার সহযোগীদের গাজা সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ৷
শাকিল মাদারগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের মোঃ বাবুলের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকেই ফেসবুকের বিভিন্ন প্রোফাইল ও পেইজের ওই ছবিতে দেখা যায়, কলেজ ছাত্রদলের নেতা শাকিল প্রকাশ্যে কয়েকজনের সাথে একটি প্লাস্টিকের বোতলের মাঝ পথে পাইপ ঢুকিয়ে গাজা সেবন করছেন। তার পাশেই রয়েছে আরও ৩ জন।
এদিকে ছবিটি ভাইরালের পর থেকেই নানা আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
জামালপুর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট কলেজ ছাত্রদল এর সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান শাকিল জানান, এটা একটি চক্রান্ত ।
মাদারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল্লাহ সাইফ জানান, ফেসবুকে একটি ছবি দেখেছি। শুনেছি তার পদ স্থগিত করেছে জেলা ছাত্রদল। তবে থানায় আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. আতিকুর রহমান সুমিল জানান- জামালপুর জেলা ছাত্রদল মাদকের বিরুদ্ধে সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ভাইরাল হওয়া ছবিটি দেখে জামালপুর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান শাকিল এর পদ স্থগিত করা হয়েছে।
জামালপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, ছাত্রদলে নেশাখোরদের কোন যায়গা নেই। আমরা ছবি পেয়ে মেহেদি হাসান শাকিল এর পদটি স্থগিত করেছি। পাশাপাশি তাঁর সাথে ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মীর সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।