ইসলামপুর

বাঁচতে চান দুই কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া ইসলামপুরের ফজলু

স্টাফ রিপোর্টার: জীবনের তাগিদে প্রতিদিনই এক অনিশ্চিত মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ ফজলু মিয়া। কয়েক বছর আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার কিডনি রোগ ধরা পড়ে। সেই সময়ে তার একটি কিডনি সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যায়। আরেকটি কিছুটা সচল থাকলেও বর্তমানে সেটিও প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

চিকিৎসকদের পরামর্শে এখন তাকে সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হয়। প্রতিবার ডায়ালাইসিসে খরচ হয় প্রায় তিন হাজার টাকা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চালাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তিনি। শেষ সম্বল ভিটেমাটি বিক্রি করেও যখন চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব হয়নি। তখন ভেঙে পড়েন এই সংসারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।

অভাব-অনটনের কারণে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে (এক ছেলে ও এক মেয়ে) তিনি শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। স্ত্রী ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করে কোনোভাবে সংসার ও স্বামীর চিকিৎসার কিছুটা যোগান দিচ্ছেন। তবুও ধারাবাহিক চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া এখন আর সম্ভব হচ্ছে না।

আশাহত ফজলু মিয়া বলেন, আমি প্রায় তিন বছর ধরে অসুস্থ। আমার দুই কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসার জন্য সবকিছু বিক্রি করেছি। এখন আর সামর্থ্য নেই। মা-বাবা কিডনি দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বয়স ও শারীরিক কারণে ডাক্তার রাজি হয়নি। স্ত্রীও দিতে চেয়েছিল, কিন্তু ম্যাচ হয়নি। আমার দুই সন্তান। ছেলের বয়স মাত্র ৫ বছর, মেয়ের বয়স ৮ বছর। আমি অন্তত তাদের জন্য হলেও বাঁচতে চাই। আমি আপনাদের কাছে সাহায্য চাই।

দুই কিডনি নষ্ট হয়ে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষমান এই অসহায় মানুষটির বাঁচার আকুতি এখন সমাজের বিত্তবানদের কাছে।

Related Articles

Back to top button