অনিয়ম, দুর্নীতি ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার পরও বহাল তবিয়তে গণপূর্তের আলাল
স্টাফ রিপোর্টার: ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর অনিয়ম, দুর্নীতি ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার কারনে অনেক সরকারি চাকরিজীবী চাকরি হারালেও শুধু মাত্র বদলি হয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আলাল উদ্দিন। তার অনিয়ম, দুর্নীতি ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতা নিয়ে একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবুও অদৃশ্য কারনে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন আলাল উদ্দিন।
আলাল উদ্দিন জামালপুরের পিঙ্গলহাটি এলাকার মৃত সামস উদ্দিনের সন্তান।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দীর্ঘ দিন জামালপুর গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন আলাল উদ্দিন। দীর্ঘ ১৭ বছর জেলার মেগা প্রকল্পের কাজগুলোতে তিনি জড়িত ছিলেন ওতপ্রোতভাবে। জেলা কারাগার, মেডিকেল কলেজ, শিল্পকলা একাডেমী, মডেল মসজিদ, জিমন্যাষ্টিক সেন্টারসহ গণপূর্তের আওতায় শতকরা ৯০ ভাগ প্রকল্পের কাজ দেখা শোনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের ঠিকাদারেরা এসব কাজে অনিয়ম করলেও অনেকটাই নিশ্চুপ থাকতেন তিনি। এই কারনে জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগ, শহর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নীতি নির্ধারকেরাতার বন্ধু হয়ে যান। এছাড়াও আওয়ামলীগের নির্বাচনের মেয়র ও এমপি প্রার্থীদের বিপুল পরিমান অর্থের যোগান দিতেন এই আলাল উদ্দিন। এই কারনে তাকে নিয়ে গণপূর্ত দপ্তরের সকলে মধ্যে ভয় কাজ করতো।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়- আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে দূর্নীতি করে বিপুল সম্পদ গড়েছেন আলাল উদ্দিন। এর মধ্যে জামালপুরে ৫ টি বাড়ী, গরু ও মৎস খামার, বোর্ডঘর এলাকায় মার্কেট, ময়মনসিংহে একাধিক বাড়ী, ব্যাংকে তার স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের নামে অর্থ এবং অসংখ্য স্বর্ণালঙ্কারের মালিক তিনি। এছাড়াও জামালপুর থাকার সময় তার আওতাধীন কয়েকটি নির্মান কাজে অনিয়ম দেখা গেলে আওয়ামী লীগ নেতাদের ধরে সেসব ধামাচাপা দেন তিনি।
অভিযোগে বলা হয়- আওয়ামীলীগ সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে জামালপুর থেকে পোস্টিং নিয়ে ময়মনসিংহে যোগদান করেন আলাল উদ্দিন। এতেই অনেকটাই ধরা ছোয়ার বাইরে চলে যান তিনি।
অভিযোগের শেষে আলাল উদ্দিনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে অভিযোগকারী।
এসব বিষয়ে মোবাইল ফোনে আলাল উদ্দিন বলেন-‘আমি জামালপুর থাকার সময়ে কাউকে চিনতাম না। এখন কে কি অভিযোগ করেছে তা আমি জানি না। আমার পৈত্রিকভাবে জমি জমা রয়েছে। ময়মনসিংহ শহরে একটি জায়গাতে যৌথভাবে একটি বাসা নির্মানাধীন অবস্থায় রয়েছে।’




