`এদেশের মানুষ পিআর বোঝে না’- ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন- ‘এদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি বোঝে না। পিআর খায় না মাথায় দেয়? এসব শর্ত যারা দেন তাারা খুব সুপরিচিত।’
তিনি আরো বলেন-‘শেখ হাসিনার পুঁজি ছিলো ৭১। সেটাকে শেষ করে দেয়ায় যারা মুক্তিযোদ্ধের বিরোধী ছিলো তারা মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার জন্য এমন হয়েছে।’
শনিবার দুপুরে জামালপুর শহরের বেলটিয়া এলাকায় জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি ।
টুকু আরো বলেন- ‘মুক্তিযুদ্ধকে অনেকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে। কিন্তু সন্তান একবার জন্ম হয়। মুক্তিযুদ্ধ যে স্বাধীনতা এনেছে সেটিই স্বাধীনতা’
সবশেষ ১৯৭১ সালের মতো ২০২৪ সালকে কেউ প্রশ্নবোধক করুক এমনটা চান না বলে মন্তব্য করেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ।
সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো.শরীফুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্বে করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম ও সঞ্চালনা করেন সাধারন সম্পাদক শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুন।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি, সাধারন সম্পাদকসহ ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি আংশিক কমিটি ঘোষনা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
কমিটিতে জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে এডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুন আবারো জায়গা করে নেন। এছাড়াও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে লোকমান আহম্মেদ লটন, সহ-সভাপতি পদে শামীম আহম্মেদ, ফরিদুল হক খান দুলাল, লিয়াকত আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে খন্দকার আহসানুজ্জামান রুমেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সোহবার হোসেন পল্টন, মোস্তাফিজর আরমান আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ফিরোজ মিয়া, শফিকুল ইসলাম খান সজিব ও আরিফ হোসেন খান বাহাজ জায়গা পান।
২০১৬ সালে শহরের সিংহজানী উচ্চ বালক বিদ্যালয় মাঠে জামালপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।