সারাদেশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক না করাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশের হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হন। এর প্রতিবাদে আজ বুধবার সকাল থেকে পটিয়া থানা ঘেরাও, পরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন নেতা-কর্মীরা। এসময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তাঁরা।

আজ বুধবার দুপুর ১২টা থেকে অবরোধে বন্ধ হয়ে পড়ে মহাসড়কের দুই পাশের যান চলাচল। আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। দুর্ভোগে পড়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্য ছুটতে দেখা যায় অনেককে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি করে এমন ঘটনায় ক্ষোভ জানান তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে এই অবরোধ হচ্ছে। পটিয়া মডেল মসজিদসংলগ্ন মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় তাঁদের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর ও উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদূর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। দুজনের অপসারণ দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।

অবরোধের কারণে পটিয়া বাইপাস মোড় থেকে ইন্দ্রপুল কাজীরপাড়া এলাকা পর্যন্ত সড়ক অনেকটাই অচল হয়ে পড়ে। তবে পরীক্ষার্থী ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে এ সময় দেখা যায়নি।

চট্টগ্রামের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ বলেন, কথায় কথায় আন্দোলন ও অপসারণ কতটা যৌক্তিক তা বিবেচনা করতে হবে। থানার মতো স্পর্শকাতর স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

এদিকে, এখন পর্যন্ত পুরো ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

এরআগে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দীপংকর দে-কে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চায়নি। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আন্দোলনকারীরা জানান, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।

Related Articles

Back to top button