মাদারগঞ্জপ্রধান খবররাজনীতি

মাদারগঞ্জে এনসিপির কমিটিতে অস্বচ্ছতা

পদপ্রাপ্ত অনেকেই জানেন না নিজের পদ সম্পর্কে

এম আর সাইফুল, মাদারগঞ্জ: জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে উঠেছে অস্বচ্ছতার অভিযোগ।

গত ১২ অক্টোবর (শনিবার) মাদারগঞ্জ উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল মালেক ও যুগ্ম সমন্বয়কারী লেমন মিয়ার স্বাক্ষরিত ৯৩ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করা হয়।

কমিটি ঘোষণার পরদিন রবিবার রাতে কমিটিতে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ রয়েছে- ‘বিএনপি, ছাত্রদল ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নাম ব্যবহার করে এনসিপির কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমনকি কমিটিতে পদ পাওয়া অনেক নেতাকর্মী নিজেরাও জানেন না যে, তাদের নাম কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- সম্প্রতি সিধুলী ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর একাধিক ব্যক্তি দাবি করেন—তারা এনসিপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন, তবুও তাদের নাম পদসহ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ।

নবগঠিত কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ মাসুদ রানা বলেন, তাকে না জানিয়ে এনসিপির কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে।

নবগঠিত কমিটির ৬০ নম্বর সদস্য মনির হোসেন বাবু বলেন, তিনি ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তিনি এনসিপির কমিটির বিষয়ে কিছু জানেন না

এ বিষয়ে নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক মো. আব্দুল মোতালেব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- “কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে, তাদের সম্মতি নিয়েই রাখা হয়েছে। কিছু ব্যক্তি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রতন আমার কমিটির সদস্যদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন এবং মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে জবানবন্দি নিচ্ছেন।”

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রতনের মোবাইল ফোনে রাত ১১ টা ৫০ মিনিটের দিকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় রাজনীতিতে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
অনেকে মনে করছেন, ভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের নাম ব্যবহার করে কমিটি গঠন করা হলে তা এনসিপির দলীয় ভাবমূর্তি ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

Related Articles

Back to top button