মেলান্দহ

জামায়াত নেতার উপর হামলা: বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

সাকিব আল হাসান নাহিদ,মেলান্দহ: জামালপুরের মেলান্দহে মসজিদে রাজনৈতিক কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও  জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জামায়াতের এক স্থানীয় নেতা আহত হয়েছেন।

এর প্রতিবাদে শনিবার ( ৮ অক্টোবর) বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াত ইসলামী।

এর আগে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের পাঁচপয়লা জামে মসজিদে ঘটনাটি ঘটে।

আহত ব্যক্তির নাম রবিউল ইসলাম (৪০)। তিনি মাহমুদপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ইমামপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান-শুক্রবার এশার নামাজ শেষে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতা মসজিদের ভেতরে বৈঠক করছিলেন। এসময় মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি মো. জিয়াউল হক সোহেলসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা মসজিদে প্রবেশ করে রাজনৈতিক আলোচনা না করার অনুরোধ জানান।

এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্কবিতর্ক, পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে রবিউল ইসলাম আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহত রবিউল ইসলামকে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।  শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

পরে রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা জামায়াত।

এ ঘটনায় উপজেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি উমর ফারুক বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার মাহমুদপুর বাজার এলাকায় জামায়াতে ইসলামী একটি বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে।

বিক্ষোভ মিছিলে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান আজাদী, মেলান্দহ পৌর জামায়াতের আমির শরাফত আলীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘আক্রমণকারী’ হিসেবে অভিযুক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

এ বিষয়ে মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. জিয়াউল হক সোহেল বলেন- জামায়াতের নেতারা মসজিদে বৈঠক করছিলেন। আমরা গিয়ে অনুরোধ করলে তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমাকে মসজিদ থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় এবং জামা ছিঁড়ে ফেলে। আমরা বহুবার তাদের মসজিদে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড না করতে বলেছি।

মেলান্দহ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ইদ্রিস আলী বলেন- আমাদের ইউনিয়নের তৃতীয় ওয়ার্ডে শুক্রবার গণসংযোগ কর্মসূচি ছিল। সে বিষয়েই আলোচনা চলছিল। হঠাৎ বিএনপি নেতাকর্মীরা এসে বৈঠক বন্ধ করার চেষ্টা করে এবং হামলা চালিয়ে আমাদের সহ-সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামকে আহত করে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এসব বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম বলেন- জামায়াত ইসলামীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং বিএনপির পক্ষ থেকেও মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আজকের বিক্ষোভ চলাকালীন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Back to top button