আন্তর্জাতিকজাতীয়

১ মাসে ভারত থেকে হাজারের বেশি পুশইন

 

শনিবারও ৩ সীমান্ত দিয়ে ৪২ জনকে পুশইন করেছে ভারত। বিজিবির হিসাবে, গত ৭ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত পুশইন করানো হয়েছে ১ হাজার ২৪৪ জনকে। দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর বৈঠক এবং কূটনৈতিক তৎপরতার পরও তা বন্ধ হয়নি। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে ভারত।

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে পুশইনের সময় ২৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি। আর পঞ্চগড়ে পুশইন করা হয়েছে ১৬ জনকে। এদের মধ্যে ৪ জন ভারতীয় বলে জানিয়েছে বিজিবি।

এছাড়া, লালমনিরহাটের পূর্ব সারডুবি ও ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে ৯ জনকে ঠেকিয়ে দিয়েছে বিজিবি ও এলাকাবাসী।

পুশইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করা একজন বলেন, ‘আমাকে ধরেছে কোরবানির পরের দিন। পরে পুলিশ আর মামলা করেনি। বলেছে যে তোদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেব।’

বিজিবির হিসাবে, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে দেড় হাজার মানুষকে পুশইন করেছে বিএসএফ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৮০ জনকে মৌলভীবাজার দিয়ে এবং খাগড়াছড়ি দিয়ে ১৩২ ও সিলেট সীমান্ত দিয়ে ১১৫ জনকে পুশইন করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মন্তব্য, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতেই পুশইন করছে ভারত। এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার পরামর্শ তাদের।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম কামাল বলেন, ‘গুজরাট থেকে সামরিক উড়োজাহাজে এনে তাদের ত্রিপুরায় ডাম্প করা হয়েছে। তাদের চোখ বেধে, তাদেরকে মেরে, অসুস্থ করে পুশইন করা হচ্ছে। এটা আন্তর্জাতিক আইনের চূড়ান্ত লঙ্ঘন। বাংলাদেশের এখন প্রচণ্ড শক্তিশালী একটা অবস্থানে যাওয়া উচিত। বাংলাদেশে উচিত এখন আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে এটা নিয়ে যাওয়া।’

বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রনীতি ও প্রতিবাদের ভাষা নিয়েও অসন্তুষ্ট বিশ্লেষকেরা।

Related Articles

Back to top button