শিশুকে অপহরণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার: জামালপুরে ১২ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া এক মেয়ে শিশুকে অপহরণের মামলায় সুজন (৩১) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেছে আদালত।
সোমবার দুপুরে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত সুজন শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার চর কোডালতলী এলাকার সিরাজ বাঘার ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক বলেন- ব্যবসায়ী সুজন জামালপুরে বাণিজ্যমেলায় ব্যবসা করতে আসেন। তিনি জামালপুর শহরের ফিশারি মোড় এলাকায় পিয়ারুল ইসলামের (৪২) গুদামঘর ভাড়া নেন। পরিচয়ের সুবাদে পিয়ারুল ইসলামের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সুজন। কিন্তু পরিবারের লোকজন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর, সোমবার স্কুলে যাওয়ার পথে সুজন ও তার সহযোগীরা ওই শিশুকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করেন।
ফজলুল হক আরো বলেন- এ ঘটনায় একই বছরের ৪ ডিসেম্বর জামালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন অপহৃত মেয়ের মা নাছিমা বেগম (৪০)। পরে প্রায় এক মাস পর অপহরণের শিকার ওই শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। ২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল, বুধবার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আইনজীবী ফজলুল হক জানান- মামলায় ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির অনুপস্থিতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় রায়ে আসামি সুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগী শিশুকে দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
মামলায় আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোবারক হোসেন।




